সমললৈ যাওক

কনকলতা

ৱিকিউৎসৰ পৰা


বিয়াল্লিছৰ পুৱা জ্বলিলে তেজৰ জুই,

ক্ষুব্ধ জন-দেৱতা জাগিলে

      জাগিলে ধৰ্ষিত-দলিত আত্মা

            --- যিবা আছিল শুই ।

বিজুলী প্লাৱনে বিয়পি পৰিলে সেনানীৰ আহ্বান

পূবৰে-পছিমে ৰজন্‌জনালে অগ্নিকবিৰ গান---

      “তই হ, সাজু হ নৱ-জোৱান ।”

হুঙ্কাৰি উঠিল মুক্তি-যুঁজাৰু

      ওলাই আহিল অসমী গাভৰু

      মৃত্যুবিজয়ী গাঁৱৰ জীয়ৰী

                  দীপ্ত কনকলতা,

লুইতৰ পাৰৰ ৰণৰঙ্গিনী--- স্বদেশ মুক্তিব্ৰতা ।

মুক্তি-বিচৰা ভাৰতে আজি ধৰিছে নতুন গান

বিশ্বমেলত ঠাই বিচাৰিছে, জাগিছে দেশত প্ৰাণ ।

তেজপুৰৰ কলংপুৰত ঠাইমান শুৱনি নাই,

ভাষা-সাহিত্যৰ পুণ্য পিতামহ হৰিবিলাসৰ

                  এয়ে ওপজা ঠাই,

তেওঁৰে যহতে পোনপ্ৰথমে

      মহাপুৰুষৰ ধৰ্ম্মপুথিয়ে

            ছপাত প্ৰকাশ পায় ।

তাকে জনমা চন্দ্ৰকুমাৰ, আনন্দচন্দ্ৰ

            আৰু লম্বোদৰ বৰাই

সাহিত্যত অক্ষয় কীৰিতি ৰাখি

            বুৰঞ্জীত থলে নাম জ্বলাই ।

অৰুণোদয়ৰ পুৰণি লিখক

            নিধি লেভি ফেৰৱেল্‌,

অগ্নিঋষি কমলাকান্তই

      বহি ইয়াতেই লিখি থৈ গ’ল

      কবিতা কতনো পাতি দৰ্শনৰ মেল ।

অসমীয়াৰ কথাছবি জয়মতী

কলংপুৰৰ চিত্ৰবনতে হয়

      প্ৰশান্ত হাঁহিৰে ছবিৰ নিজৰা বয়

ইয়াতে আকৌ কনকলতাই

      বুকুৰ তেজেৰে লিখে উজ্বলাই

            “জয় ভাৰতৰ জয়” ।

কলংপুৰৰ কোলাত আছে গাঁও বৰঙাবাৰী

তাতে পুৰণিকলীয়া দোলাকাষৰীয়া

            বৰুৱা-ঘৰৰ শাৰী,

তাৰে এঘৰতে বুঢ়া ককাকেৰে

            আছিলে কনকলতা,

পাটগাভৰু ছোৱালীজনী

      ন-জীৱনৰ ন-সপোনেৰে

            মনতে পুলকিতা ।

ষোড়শী কালৰ কত হাবিলাষ

            জীৱনৰ কত আশে,

মধুময় কত ৰাঙলী সপোনে

      ঘূৰি ফুৰে কাষে কাষে ।

নৱ-যৌৱনৰ গানে---

      ভাবী জীৱনৰ কত আলসুৱা কথা

                        কৈছিলে

      গুণগুণনিৰে ৰৈ ৰৈ কাণে কাণে ।

পুৱা ৰ’দালিয়ে

      ফুলৰ হাঁহিয়ে

বাৰিষাৰ চকামকা বিজুলীয়ে

      আহিবলগীয়া জীৱন দিনৰ

            বিয়ানামসুৰীয়া কত বতৰা আনে ;

তাইৰ বুকুৰ মাজত কত উঠে ঢৌ

                  বাৰিষাৰ বানে বানে ।

সেউজী পথাৰৰ শান্তিয়ে তাইৰ

                  বুকু ওপচাই আছে,

ভালপায় তাই শইছ সোণোৱালী

      ভালপায় তাই দামুৰি-পোৱালি

            চোতালৰ দুবৰি যাঁচে ।

ভালপায় তাই তামোলেৰে ভৰা

      আপোনাৰ বাৰীখন,

ভালপায় তাই তগৰ-মালতী

            নাহৰ-কেতেকী

      লিহিৰিপতীয়া গোন্ধোৱা বিৰিণা বন ।

ভালপায় তাই আপোন দেশৰ

            আকাশ-বতাহ-জোন,

ভালপায় তাই লুইতৰ বা

                  কয় কিবা ৰুণ ৰুণ ।

গাভৰু কালৰ সুৰৰ সপোন দেখি

            তাঁতৰ পাতত

            চানেকি বাছোঁতে পিছে

দেখিলে এদিন কোনোবা কবিয়ে

      বাটে বাটে দেখোঁ অগ্নি-গানৰ

            জুই-ফিৰিঙতি সিঁচে ।

সুৰৰ ভিৰিঙতি সিঁচি যাৱ তই

           কিহৰ বেজাৰ তোৰ---

কি অসহনি ব্যথা জ্বলি উঠি

           ধৰিছে কালৰ মূৰ্ত্তি ঘোৰ ?

গানে-সুৰে মাথোঁ গুমৰি উঠিল

            দেশ পদানত বুলি,

মাতৃৰ কাৰণে তেজ দিব পৰা

      কোন ক’ত আছ সোনকালে আহ

      ভাৰতৰ শিকলি দিবলে’ খুলি ।

পুৱতিতে অহা অগ্নিগায়ক

      সন্ধিয়া গুচি গ’ল,

            তাৰ গান-সুৰ

            ৰাতিৰ ৰাতিটো

            কনকলতাৰ সপোনত বাজি ৰ’ল ;

হাঁহিমুখী সৌ পাটগাভৰুৰ

      নতুন কথাৰ ন-ভাৱনাত

            মুখনি গহীন হ’ল ।

পুৱতি উঠি কি

            মনতে ভাবিলে তাই

---“আমাৰ দেশৰ আজি একোটো নাই,

সাত-সাগৰৰ সিপাৰৰ পৰা

      কোনোবা এজন ইংৰাজ ৰজাই

            আমাৰ দেশ চলায় ।

গোলাম বিদেশীৰ আমি অসমীয়া

      মৌকোঁহখিনি কোনে চুহি নিয়ে

            মূৰ ভুকুৱাই হজুৱা-বনুৱা মৰে,

জীৱন উছগি দলে দলে গৈ

      আমি নমৰিলে

            কেনেকৈ দেশ তৰে ।”

মনতে পাঙিলে

           দেশৰ কাৰণে জীৱন উছৰ্গিম,

সময় আহিলে

      বুকুৰ তেজকো আঁজলিৰে বাকি দিম ।

সেই সময়ত সমৰৰ জুই

            জ্বলিছিলে পৃথিৱীত,

যান্ত্ৰিকদলে আপোন পাহৰি

            হেৰুৱালে হিতাহিত

স্বাৰ্থ-ক্ষমতা লোভত অন্ধ

            আসুৰী সভ্যতাৰ,

সাগৰে-নগৰে অৰণ্যে-পাহাৰে

      আকাশৰ স্তৰে স্তৰে

            দিনে-ৰাতিয়ে

                  যাচিছিল মহামাৰ,

            যন্ত্ৰভূতৰ নাৰকীয় লীলা

                  মত্ত সহিংসাৰ ।

ৰজা উন্মাদ, প্ৰজা উন্মাদ

      উন্মাদ যত শাসক-শোষক দল

      জড়-বিজ্ঞানৰ সংহাৰ লীলাই

            বোৱালে তেজৰ ধল ।

বিকৃত কৰি সংস্কৃতি মানৱৰ

      জয়-গান গাই আদিম বৰ্ব্বৰৰ,

স্বাৰ্থ বলিয়া দলে

মানুহক দহি-পিহি খাবলৈ

      চলে-বলে কৌশলে

      গৌৰৱ কৰি আসুৰী দৰ্শনৰ

            মিলালে অথন্তৰ ।

বিজ্ঞানীয়ে মন্ত্ৰ মাতিছে

      জাগিছে যন্ত্ৰ জড়চেতনা পাই

কোটি বছৰৰ ভোক গুচাবলে’

      ল’ৰা-ছোৱালীৰো কলিজা দুফালি

            অজানৰ তেজ খায় ।

অন্ধৰ মহামাৰ---

      আনক মাৰোঁতে

           আপোনাকে মাৰি

           কৰি দিয়ে ছাৰখাৰ

                  ধেমালি বলিয়াৰ ।

এফালে শোষক দলে

      সজ্জিত হৈ জড়-বিজ্ঞানৰ

            অস্ত্ৰে সদল-বলে

পৃথিৱীৰ যত নিষ্পেষিতক

            চিৰদাস কৰিবলে’

ভাগ ভাগ কৰি পৃথিৱীখনকে

প্ৰতিদ্বন্দ্বী আন শোষকৰ স’তে

      মৰযুঁজ যুঁজে

            আকাশে আকাশে

                 সাগৰে নগৰে

                  পৰ্ব্বতে-ভৈয়ামে

                         জলে-থলে নভস্থলে ।

আৰু আনফালে যত দলিতৰ

            অশ্ৰুত উঠে ভাহি

অভিনৱ এক ন-সপোনৰ

            ন-জীৱনৰ ছবি ।



সেই ছবিত জ্বলিল নবীন দিনৰ নতুন

                        গোসাঁনীজনা

      মুখত আছিল আগেয়ে নেদেখা

            আলোকৰ এক নিচিনা

                        বৰণ সনা ।

সেই ওঁঠৰ কম্পনৰ জাগিলে নতুন সুৰ

ইন্দ্ৰধনুৰ সাতবৰণীয়া জুই-আঙুনিৰে পূৰ ।

দলিত জনৰ হৃদয়ে তুলিলে প্ৰতিধ্বনি

      জনতাৰ দলে পালে

            আজি নৱ শক্তি পৰশমণি ।



দেশে দেশে জাগে

      প্ৰদেশে প্ৰদেশে

            পৃথিৱীৰ ঘৰে ঘৰে

            শোষকৰ গতিৰোধ কৰিবলে’

            দাসৰ শিকলি ছিঙি পেলাবলে’

                  দুষ্কৃতি নাশি

                    আসুৰীয় অভিযান

                       কৰিবলৈ থানবান,

মৃত্যু নিশ্চয়তাৰ জাগে---

      প্ৰচণ্ড আলোড়নে

            জনতাৰ নৱ-জাগৰিত মহাপ্ৰাণ,

গাই মানৱ-মুক্তিৰ গান

ৰূপ লৈ আহে নতুন দিনৰ সংস্কৃতি

                        সুমহান ।

পৃথিৱীৰ পুণ্য-প্ৰতিভা যঁতৰ

            আকৌ মুখত হাঁহি,

      পাশৱিকতাৰ আসুৰীয়তাৰ

            মহাকোলাহল জিনি

      বাজিল যেতিয়া নৱ-আলোকৰ

                        বজ্ৰসুৱদি বাঁহী ;



            বুজিলে মনতে

                  তিমিৰ বিনাশি

                        নামে আলোকৰ ধল,

মানুহৰ মহা-মহত্বৰ জয় হ’বই লাগিব---

      মানুহৰ অত যুগৰ সাধনা

      মানুহৰ এই আলোক-বন্দনা

      সুন্দৰৰ এই চিৰসাধনা

            হ’ব হ’ব সম্ফল,



ব’ল জনতা

      গচকি হীনতা

            দীনতা

            ভীৰুতা

                  ব’ল আগবাঢ়ি ব’ল ।

ভৱিষ্যৰ সৌ কোলাত জিলিকে

      মহাজনতাৰ

            মহাজীৱনৰ

                  মহামঙ্গলৰ

                        মহাসৌন্দৰ্য্যৰ

                              পোহৰ বিলোৱা

                                    সোণতো শুৱনি দ’ল,

      অৰুণ পথৰ

            অৰণ পৃথিৱী

                  ব’ল আগুৱাই ব’ল ।

এই ভাৰতত

আগেয়ে এদিন য’ত

মানুহৰ এক মহাসভ্যতাই

            গঢ়িছিলে জগতত

            জীৱনৰ এক প্ৰকাশ আলোকময়

            ঘোষি মানৱৰ পাহৰি আলোকমন্ত্ৰ

কালৰ সোঁতত সাভটিলে গৈ উৎকট্‌

                                         স্বাৰ্থতন্ত্ৰ !

তপোবনে বনে নিচুকি কান্দিলে---

                                    সাম্যৰ সংস্কৃতি

      ভাৰতবৰ্ষৰ মহাজীৱনৰ ঘটিলে বিকৃতি ।

সাম্য-শান্তি প্ৰচাৰ কৰোঁতা

                              আলোক-যাত্ৰীদলে

আহং ভাবত উন্‌মত্‌ হৈ

                  ধন-সোণ লৈ বলিয়াবতিয়া

      মানুহৰ মোল বাহানিত থাপি

                              তমসত বুৰ গ’লে ।

মহাসংস্কৃতি ভ্ৰষ্ট ভাৰতে

                        হীনবীৰ্য্য হ’ল---

আপোন সংহতি নিজে ভাঙি-ছিঙি

      পৰপদানত--- অৱনত হৈ ৰ’ল ।

তাৰ পিছে

            তাৰ পিছে

            আন্ধাৰেৰে ভৰপূৰ—

                        মাৰ গ’ল দিশে দিশে ভাৰতৰ

                              জীৱনৰ মহীয়ান সুৰ ।

যুগযুগান্ত আহি গুচি যায়

জগতত ভাৰতত চিনচাব নাই ।

বিশ্বসভাত ঠাই নাই ভাৰতৰ

অৱনত ভাৰতে উচুপি উচুপি কান্দে

                                    বোজা বৈ মহাপতনৰ ।

এনেতে আহিল ধ্বনি

      আন্ধাৰ বুকু ফালি

            পৃথিৱী কঁপাই---

অমৰ আতমা ভাৰতৰ

      মৰা নাই, মৰা নাই, মৰা নাই

            হ’ব ভাৰতৰ মহান অভ্যুদয়,

নৱ-আলোকৰ বাণী লৈ জাগে

                  এক, মহাসন্ন্যাসী ত্যাগী

জ্যোতি-শঙ্খৰ বজ্ৰা্বনিয়ে

            কঁপালে ধৰিত্ৰী

            ভাৰতৰ গ’ল মৰটোপনি ভাগি

            উঠে নৱভাৰতৰ নবীন শক্তি

                                    জাগি ।

কৌপিনধাৰী মোহন গান্ধী---

      বৈশ্বানৰৰূপী অভিনৱ বুদ্ধ

            সহিংস অস্ত্ৰেৰে

                  নোৱাৰিলে

                        নোৱাৰিলে

                              কৰিব ৰুদ্ধ ।



                                    (অসমাপ্ত)